লাশবাহী এই গাড়িতে শেষবারের মতো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরে আসেন নিহত সোয়ানুর জামান নয়ন। এ সময় শোকাহত সহকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান নির্ভীক এই সহযোদ্ধাকে।
গতকাল (বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ট্রাক চাপায় প্রাণ হারানো ফায়ার ফাইটারের মরদেহ আজ (বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আনা হয় রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হেডকোয়ার্টারে। জানাজার আগে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয় তাকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নিহত নয়নের চাচাতো ভাই রাকিবুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় মৃত্যু আসতেই পারে, কিন্তু এভাবে প্রাণ হারানোর ঘটনা মেনে নেয়া কঠিন।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের কষ্টটা এখানেই, কেন রাস্তায় তাকে গাড়ি চাপা দিল? কেন রাস্তা ব্লক করে সেফটি দেয়া হলো না? এরপর যেন এ ধরনের নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকে মন্ত্রণালয় ও সরকারের কাছে আমরা করজোড়ে অনুরোধ করি।'
দুপুর ২টার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে জানাজায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আগুন নির্বাপণের সময় ট্রাক চাপায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যুতে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করেন তিনি।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'আমি বলবো যে এটা ব্যর্থতাই। ট্রাক ওখানে চলাচল করাটা উচিত ছিল না। কিন্তু আমরা ট্রাক চালককে ধরে ফেলছি। এবং তাকে আমরা আইনের আওতায় অবশ্যই নিয়ে আসবো।'
তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, 'সেসময় আগুন নিভানোটাই মেইন। সিসি ক্যামেরা কাজ করে কি করে না সে দিকে খেয়াল তো রাখা হয় না। পুরোটা জানার পর আমি বলবো। আর এখানে এক্সপার্ট অপিনিয়ন দরকার হবে।'
২০২২ সালে ফায়ার সার্ভিস যোগ দেন রংপুরের মিঠাপুকুরে জন্ম নেয়া ২৪ বছর বয়সী নয়ন।