দেশে এখন
0

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত

বিবিএসের সব শেষ হিসাব অনুযায়ী নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশের কাছাকাছি। এমন সময়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর দিলো অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মহার্ঘ ভাতা পেতে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। প্রথম থেকে ২০ তম গ্রেডের সবাই এর আওতাভুক্ত হবেন। এবার এই মহার্ঘভাতার আওতায় আসবেন পেনশন ভোগীরাও।

দুটি স্ল্যাবে ভাতার হার নির্ধারণ হবে। প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে প্রধান করে ৭ সদস্যের কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই হার চূড়ান্ত হবে। কর্মকর্তা কর্মচারীরা মূল বেতনের সঙ্গে আরও কিছু আর্থিক সুবিধা পাবেন।

২০তম গ্রেডে বর্তমানে মূল বেতন শুরু হয় ৮ হাজার ২৫০ টাকা আর প্রথম গ্রেডে মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। দেশে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা অন্তত ১৪ লাখ। সাধারণত ৫ বছর পর নতুন পে স্কেল ঘোষণা করে সরকার।

২০০৯ সালে ৭ম পে স্কেল ঘোষণা করার পর ২০১৫ সালে বেতন বাড়িয়ে নতুন পে স্কেল কার্যকর হয়। আর প্রতিবছর জুলাই মাসে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। এরপর আট বছর কেটে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এই খরা কাটতে যাচ্ছে।

ড. মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘এজন্য প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে পেনশনাররাও মহার্ঘভাতা পাবেন।’

সচিব বলেন, ‘পদবঞ্চিতদের নিয়ে বঞ্চিত নিরসনে কমিটি প্রতিবেদনের আলোকে সরকার যখন নির্দেশ দিবে এটি বাস্তবতায়ন করা হবে। ৭৬৪ জনকে পদ মর্যাদা ও আর্ধিক ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে দেয়া সুপারিশ করেছে বঞ্চিত কমিটি।'

এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বঞ্চিত সরকারি ৭৬৪ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে যাচ্ছে। ১৫ বছরে বঞ্চিতদের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।

কমিটি গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। অবসরপ্রাপ্ত ও মারা যাওয়া কর্মকর্তারাও ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয়ারও সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।

এদিকে প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো ও ডিসি ফিট লিস্টসহ জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয়বাদী দল বিএনপি। বিএনপি গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহর নেতৃত্বে একটি দল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রস্তাবনাপত্র হস্তান্তর করেন।

ইএ