শিক্ষা
দেশে এখন
0

এক দশক পরও রাঙামাটির মেডিকেল কলেজ পায়নি স্থায়ী ক্যাম্পাস

প্রতিষ্ঠার এক দশকেও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস হয়নি। শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের বাসস্থানসহ যাবতীয় কার্যক্রম ভাড়া ভবনে। নানামুখী সংকটে আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের দাবি ইতোমধ্যেই ডিপিপি পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। তবে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদনে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পাহাড়ের বাসিন্দারা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫ সালে।

প্রতিষ্ঠার ১০ বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাস পায়নি পার্বত্য অঞ্চলে প্রথম নির্মিত মেডিকেল কলেজটি। বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের ৫ তলা ভবন ভাড়া করে চলছে কলেজের কার্যক্রম। আর শিক্ষার্থীদের বাসস্থানের জন্য করা হয়েছে পুরোনো ভবন ভাড়া। আধুনিক ল্যাব, ক্লাসরুম-লাইব্রেরি, শিক্ষক-কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম।

অস্থায়ী ক্যাম্পাসের অদূরেই প্রায় ২৬ একর জমির অধিগ্রহণসহ মাস্টার প্ল্যান ও ডিপিপি নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রাঙামাটি গণপূর্তের মধ্যে শুরু হয় চিঠি চালাচালি। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ভবন নির্মাণকাজ বিলম্ব হওয়ায় ২০১৯ সালে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ৫ বছর আগের সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হওয়ায় চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ফের রাজপথে নামেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাতেও মেলেনি ফল।

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া বলেন, ‘প্রথম সমস্যা হচ্ছে ক্লাসরুম আর দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে শিক্ষকদের বসার কোনো জায়গা নেই। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো হোস্টেল নেই, এজন্য তাদের পুরোনো ভবনে রাখতে হচ্ছে। যার ফলে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।’

এর আগে ডিপিপি পাঠানো হলেও কিছু সংশোধনী থাকায় তা ফেরত পাঠায় প্রাক-প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি। ফলে নতুন করে মন্ত্রণালয়ে সংশোধিত চূড়ান্ত ডিপিপি পাঠানোর দাবি গণপূর্ত বিভাগের।

রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মি চাকমা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে, স্থানীয় এলাকাবাসী চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে, এছাড়া তারা পড়াশোনার সঠিক পরিবেশ পাচ্ছে না এসব বিষয়গুলো আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে।’

রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের, ডিপিপি সম্প্রতি পৌঁছেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে পরিকল্পনা কমিশন হয়ে একনেকে পাশ হলেই, আলোর মুখ দেখবে রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস।তাই অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদনে, সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শিক্ষক শিক্ষার্থী আর পাহাড়ের মানুষেরা।


এএম