সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
গতকাল (বুধবার, ২৭ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের গাড়িবহর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদের দাবি পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যেই গাড়িবহরে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ বলেন, 'আমার দেশের মাটি থেকে তারা যদি ভেবে থাকে ২৪ এর যোদ্ধাদেরকে মুছে দিলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে তারা আবার আঘাত হানতে পারবে তাহলে তাদের বলবো ভুলে যান। তারা ভাবছে সারজিসকে, হাসনাতকে সরিয়ে দিলেই এ দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব আর টিকে থাকবে না। তারা জানে না এ দেশে হান্নান মাসুদকে আক্তার হোসেনকে সরিয়ে দিলে আরও হাজারও হান্নান মাসুদ-আক্তার হোসেন তৈরি হয়ে আছে।'
এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, ফ্যাসিস্টের ষড়যন্ত্র।
নাসির উদ্দিন বলেন, 'যে সকল খুন, গুম, নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমরা সে সকল খুন, গুমে জড়িত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যারা এখনও ঘুরেফিরে বেরাচ্ছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করে জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওয়ায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।'
এছাড়াও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন চার দফা দাবি তুলে ধরেন।
আক্তার হোসেন বলেন, 'চার দফা দাবিতে বাংলাদেশের সকল মানুষকে জেগে ওঠার আহ্বান জানাচ্ছি। বন্ধুগণ, বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে হিন্দুত্ববাদী প্রভাব থেকে মুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশের অস্থিশীলতা তৈরি করা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারও বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।'
এ সময় বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভারতের প্রভাব থেকে বের হয়ে আসাসহ সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি উঠে আসে।