জুলাইয়ের গণভ্যুথানে শহীদ আলামিন রনির ১৯ দিনের শিশু রোজা আক্তার। জন্মের পরে দেখার সুযোগ পায়নি বাবাকে। সন্তান কোলে আর্থিক সহায়তার চেক নিচ্ছেন রনির স্ত্রী মিম আক্তার।
শনিবার সকালে বরিশালের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের মাঝে চেক হস্তান্তর করা হয়। শহীদ পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা গুলি চালিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
বরিশাল বিভাগের ৭৯ জন শহীদ পরিবারের মাঝে চেক হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি শহীদ পরিবার থেকে একজন সদস্যর সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘তাদের যেকোনো যৌক্তিক প্রয়োজনে আমরা যেকোনো কিছু করতে সবসময় আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা, সরকার বা এই বাংলাদেশ তাদের পাশে থাকতে দায়বদ্ধ। আমরা আপনাদের কথা দিচ্ছি। আপনারা আপনাদের সন্তান মনে করে আমাদের ওপর এইটুকু আস্থা রাখবেন।’
শহীদ পরিবারের পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানে আহত সবাইকে সহযোগিতার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যেমনটা সারজিস আলম বলেছেন যতদিন পর্যন্ত শহীদ পরিবার থাকবে তাদের পাশে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থাকবে। আমিও কথা দিচ্ছি, জেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে, সর্বক্ষেত্রে যেকোনো প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে থাকবে।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে বরিশাল বিভাগে মোট ১৩৪ জন শহীদ হয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সবাইকে সহায়তা করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।