দেশে এখন
0

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আজ (বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধায় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল জানায় গার্ড অব অনার। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইতেও স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান।

পরে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীগণকে সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশকে গড়তে হবে সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে।

তিনি বলেন, 'নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সম্প্রতি অর্জন করলাম সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে হবে। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকরী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণার্থে যা কিছু প্রয়োজন তা করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী।'

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা জানান, সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে বাংলাদেশ, তবে পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা।

তিনি বলেন, 'আমরা সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবো। আমাদের পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, বিশ্বাস, আস্থা ও সহযোগিতা। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ও বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংগত করার কারণে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।'

ধর্মের কারণে কাউকে শত্রু মনে না করারও আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

এসএস