মাহবুবের রহমান শামীম বরেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ছাত্রদের পাশে ছিল বলেই ছাত্র-জনতার আন্দোলন সফল হয়েছে, কারও একক নেতৃত্বে হয়নি। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম সংস্কার কাজ হলো দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।'
তিনি বলেন, 'সংস্কারের নামে দেশে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিন বেড়েই চলছে। চারদিকে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কারের কথা আরও দুই বছর আগেই বলেছেন। আমরা মনে করি অতি শিগগিরই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের মাধ্যমেই মানুষের মৌলিক অধিকার, সামাজিক অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।'
তিনি আরও বলেন, '২০২৪ এর স্বৈরাচার মুক্ত আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা গত ১৭ বছরে গুম-খুন, হামলা-মামলা নির্যাতনের মাধ্যমে তার বাবার মতো বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার আপামর মানুষ সুসংগঠিত হয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তা নস্যাৎ করে দিয়েছে।'
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, 'আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন হাতিয়ার রাজনীতি ব্যক্তি রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমাদের রাজনীতি হবে জিয়াউর রহমানের, খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের রাজনীতি। এর বাইরে কোনো রাজনীতি বা গ্রুপিং চলবে না। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান যাকেই মনোনয়ন দিবে আমরা সবাই তার জন্য একসাথে কাজ করে যাবো। এটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল, কিন্তু এখানে সাধারণ মানুষের জনদুর্ভোগের শেষ নেই। যাতায়াতের জন্য ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই।'
তিনি বলেন, 'মানুষের ম্যান্ডেড নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে হাতিয়া হবে একটি পর্যটন এলাকা। এখানে জলপথ এবং স্থলপথের যাতায়াত ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়া যেসব এলাকায় নদী ভাঙন রয়েছে সেখানে বেড়িবাঁধ করা হবে। বাণিজ্যিক উন্নয়নের জন্য একটি নৌ-বন্দর, সু-চিকিৎসার জন্য উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।'
উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক খোকনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান।