সবুজ কৃষ্ণচূড়ার নিচে স্টেশন কলকাকলি। প্রথমে মনে হবে, যাত্রীদের অপেক্ষায় সেখানে দাঁড়িয়ে আছে লাল-সবুজ ট্রেন, 'জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস'। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছে ট্রেনটি।
তবে এটি কোনো ট্রেন না, বরং স্কুল ভবন। আধাপাকা টিনশেডের এই ভবনে রয়েছে তিনটি ক্লাস রুম একটি গ্রন্থাগার। কিন্তু এক স্কুলে দুই ধরনের ভবন থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করতো অনাগ্রহ। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহীর পুঠিয়ার এই প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'ট্রেনে বসে ক্লাস করছি এটা অনেক আনন্দ লাগছে। এই রঙ করার পর আমরা আরও উৎসাহিত স্কুলে আসার জন্য।'
নতুন আঙ্গিকে বিদ্যালয় ভবন সাজানোয় প্রশংসা করছেন অভিভাবকরাও। ট্রেনের মতো শিক্ষার্থীদের জীবনের যাত্রাও সুশৃঙ্খল হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
একজন অভিভাবক বলেন, 'এই স্কুলটা ভালো। ভালো পড়ালেখা হয় এখানে। আবার স্কুলের ভবন সুন্দরের কারণেও বাচ্চারা আগ্রহ হয়েছে।'
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের অনুশীলনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দেয়ালে সাটানো টমাস আলভা এডিসনের আবিষ্কারের গল্প, প্রধান শিক্ষককে লেখা আব্রাহাম লিংকনের চিঠিসহ বিভিন্ন নীতি বাক্য থেকে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
ধাদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খাতুন বলেন, '২০২২ সালে আমরা জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ স্কুল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। এ বছর আমাদের স্কুল শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে বিভাগে প্রথম হয়েছে। আমরা বচ্চাদের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করি। আমরা তাদের মন ও মননে এই বীজ বপন করে দিতে চাই।'
জীবনের প্রতিটি স্টেশনে জ্ঞান অর্জনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা পৌঁছে যাবে মহাকাশ পর্যন্ত এই প্রার্থনা শিক্ষক-অভিভাবক সকলের।