আজারবাইজারের বাকুতে চলমান কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে মূল আয়োজনের বাইরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এ কথা জানান নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এর গতির প্রেক্ষিতে কত দ্রুত নির্বাচন হবে সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তবে দেশকে গণতান্ত্রিক ভোটের দিকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছে। তাই আমরা প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথেই নির্বাচন আয়োজন করা হবে। নির্বাচনে যারা জয়ী হবে তারা শাসনভার গ্রহণ করতে পারবেন এবং দেশ পরিচালনা করতে পারবেন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সম্ভাব্য সাংবিধানিক সংস্কারের পাশাপাশি সরকার, সংসদ এবং নির্বাচনী বিধিমালা নির্ধারণে দ্রুত একমত হওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। তাই আমাদের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত।’
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ড. ইউনূস এএফপিকে বলেন, যে কোনো সরকারই দেশের স্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হবে। আমরাও উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি এ বিষয়টি আমরা সমাধান করতে পারবো এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ফিরে আসবে।’