দেশে এখন
0

আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনালের নির্মাণ ব্যয় ২১০ কোটি টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর আধুনিকায়নে ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কার্গো টার্মিনাল। এর মাধ্যমে বছরে অন্তত ১৫ লাখ টন পণ্য ওঠানামা করা যাবে। এর মধ্য দিয়ে নৌ বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভৌগোলিক অবস্থান আর পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর। তবে, এই বন্দরে নেই পর্যাপ্ত জেটি ও ওয়্যারহাউজ সুবিধা। নেই ট্রাক ইয়ার্ডও। অথচ প্রতিবছরই বাড়ছে বন্দরের ইজারামূল্য।

বন্দরে মাত্র ২ টি জেটি থাকায় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে লাগে দীর্ঘ সময়। বেশিরভাগ জাহাজ নোঙর করে রাখতে হয় মাঝ নদীতে। এছাড়া ওয়্যারহাউজ সুবিধা না থাকায় রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই পণ্য রাখতে হয় খোলা আকাশের নিচে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়ীরা।

এমন অবস্থায় নৌ বন্দরটির সক্ষমতা ও বাণিজ্য বাড়াতে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক কার্গো টার্মিনাল। প্রকল্পের আওতায় থাকছে নতুন ৩টি জেটি, স্টোরেজ শেড, ওপেন স্টোরেজ, সাব স্টেশন, ইয়ার্ডসহ নানা অবকাঠামো। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরের আধুনিকায়ন সম্পন্ন হলে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন বাড়বে, তেমনি সরকারও পাবে বিপুল অংকের রাজস্ব।

নতুন টার্মিনালে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে থাকবে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। ২০২৫ সালের আগস্টে নির্মাণ কাজ শেষ করার আশা প্রকল্প পরিচালকের।

আশুগঞ্জ নৌবন্দরের আধুনিক কার্গো টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক মো. আইয়ুব আলী বলেন, ‘১৫ লাখ টন মালামাল স্টোরেজে রাখার সুবিধা থাকবে এখানে, এতে কার্গো থেকে যেসব মালামাল নামানো হবে তা রাখা যাবে। আগে যেমন যত্রতত্র মালামাল রাখা হতো সেটা এখন আর থাকবে না। আর এটা বিআইডব্লিউটি'র তত্ত্বাবধায়নে থাকবে।’

এক যুগেরও বেশি সময় আগে পূর্ণাঙ্গ বন্দরের স্বীকৃতি পায় পায় আশুগঞ্জ নৌবন্দর। আন্তঃদেশিয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইতোপূর্বে বন্দরটিকে পোর্ট অব কল ঘোষণা করেছে সরকার। প্রতি মাসে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক পণ্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড আসে এখানে।

এএম