ব্যতিক্রমী এই পূজা দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত-দর্শনার্থীরা এসে জড়ো হন। এছাড়া পূজা উপলক্ষে মাঠের পাশে বসে লোকজ মেলা।
সনাতন ধর্মের অনুশাসন অনুযায়ী শিবের গাজন উৎসবের অংশ হিসেবে শতবছরের বেশি সময় ধরে এই চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অপশক্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করার পাশাপাশি আত্মত্যাগের অংশ হিসেবে পিঠে বড়শি গেঁথে চড়ক গাছে ঘোরানো হয় কয়েকজন ভক্তকে।
পাশাপাশি মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার শিক বিদ্ধ করে দেখানো হয় নানা কসরত। এছাড়া আগুনের ওপর দিয়েও হেঁটে যান অনায়াসে।
ফান্দাউক গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণুপদ ঋষি জানান, ব্যতিক্রম এ পূজা আমাদের ভালো লাগে। বিশেষ করে পূজায় তান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে যেসব কসরত দেখানো হয়-সেটি অনেক বেশি আনন্দ দেয়। আমরা চাই ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে প্রতিবছর এ পূজা অনুষ্ঠিত হোক।
সরাইলের বাসিন্দা সুনন্দা দে জানান, চড়ক পূজা বাঙালি সংস্কৃতিরই অংশ। তিনি ছোটবেলা থেকে এ পূজা দেখে আসছেন। এখন সন্তানদের নিয়ে এসেছেন পূজা দেখাতে।
সন্ন্যাসী দীপক রায় বলেন, 'মহাদেবের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্যই আমরা চড়ক পূজা করি। মহাদেবের মন্ত্রের গুণে ভক্তদের শরীরে বড়শি গেঁথে ঘুরানো হয়, আগুনের ওপর দিয়ে হাঁটেন। আধ্যাত্মিক শক্তির পরীক্ষা হিসেবে শারীরিক এসব কসরত দেখানো হয়।