অনুষ্ঠানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন নবগঠিত পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে অধ্যাপক থানজামা লুসাই এবং ১৪ জন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পরিষদের অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
পরে পার্বত্য জেলা পরিষদের ন্যস্ত ২৮টি বিভাগের প্রধান ও উপস্থিত জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নবাগত যোগদানকৃত সদস্যসহ সুধীজনদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নবাগত চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই।
দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই সাংবাদিকদের বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পর্যটনের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করবো।’
তিনি বলেন, ‘সততার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সকল প্রকার দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে যাবো।’ জেলা পরিষদের নবগঠিত পরিষদকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সকলকে অনুরোধ জানান।
জানা যায়, ‘২৪ জুলাই বিপ্লবের পর ৫ আগস্ট তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে গেলে দায়িত্ব নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতিগ্রস্ত বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা ও তার পরিষদের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
পরে অন্তর্বর্তী সরকার পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশে চেয়ারম্যান ও ১৪জন সদস্য নিযুক্তের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করা হয়।
এসময় নবাগত সদস্য রাজুময় তঞ্চঙ্গ্যা, ম্যা ম্যা নু, অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মার্মা, উম চিং মারমা, খামলাই, মং এ চিং চাক, ডা. সানাই প্রু ত্রিপুরা, লাল জারলম বম, নাং ফ্রা খুমী, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মুহাম্মদ আবুল কালাম, অ্যাডভোকেট মাধবী মার্মা, খুরশিদা ইসহাক তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন এবং পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।