গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসানের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ভর হয়ে পরে দলটি।
পতন পরবর্তী প্রকাশ্যে কোন কর্মসূচি না দিলেও তিন মাস পর শহীদ নূর হোসেন দিবসকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
রোববার যখন গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বরে কর্মসূচি দিয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে গণহত্যার অভিযোগ ওটা দলটি তখন রাত থেকেই গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট দখলে নেয় ছাত্র জনতা।
স্লোগান আর মিছিলে যেমনি জানান দিচ্ছিলো জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা তেমনি প্রত্যয় জানাচ্ছিলো আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি প্রতিহত করার।
দৃঢ় কণ্ঠে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহত করার কথা যখন জানান দিচ্ছিলো তখন একই সাথে দাবি করছে দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের। পাশাপাশি ছিল দলটির দ্বারা সংগঠিত গণহত্যার বিচারের দাবিও।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের ঘোষিত সমাবেশ প্রতিহতের পাশাপাশি ছাত্র জনতার উচ্চকিত আওয়াজ ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দেয়া শহীদদের ত্যাগকে সমুন্নত রাখার।
জুলাই বিপ্লবের তিন মাস পর আওয়ামী লীগ যখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরে আসতে চাইছে তখন তার বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ ছাত্র জনতা। দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচার প্রত্যাশা করছেন তারা।