কৃষি
দেশে এখন
0

নড়াইলে ড্রাগন চাষে বাড়ছে কর্মসংস্থান

নড়াইলে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে ড্রাগন চাষ। দেশি-বিদেশি অন্তত ১২ প্রকার বিভিন্ন জাতের ড্রাগনের চাষ হচ্ছে এই জনপদে। চলতি বছর ১৯৫ বিঘা জমিতে ড্রাগনের চাষ হয়েছে। এতে বাণিজ্য হবে অন্তত ২০ কোটি টাকা। এছাড়া বাড়ছে কর্মসংস্থানের সংখ্যা।

বিল অঞ্চল খ্যাত নড়াইলের ৮২ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এই জনপদে ধান, পাট, গমসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ থাকলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে ড্রাগন চাষ।

লোহাগোড়া উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক মরফুদুল হাসান পলাশ। পাঁচ বছর আগে শখের বসে শুরু করেন ড্রাগন ফলের চাষ। তবে লাভবান হওয়ায় বর্তমানে তিনি ২৩ একর জমিতে ৫২ হাজার ড্রাগনের গাছ রয়েছে তার। যেখান থেকে বাণিজ্য হবে সাড়ে তিন কোটি টাকার।

শুধু মরফুদুল হাসান পলাশ নয়, জেলার লোহাগড়া, কালিয়া এবং নড়াইল সদরের অর্ধশতাধিক গ্রামে এই ফলের আবাদ করছেন স্থানীয়রা। তুলনামূলকভাবে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে চাষের পরিধি।

রেড ভেলভেট, আমেরিকান বিউটি, ইসরাইল ইভলো, ভিয়েতনাম রেডসহ অন্তত ১২ জাতের ড্রাগনের গাছ রয়েছে। যেখানে কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেকের।

কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় চলতি বছর ১৯৫ বিঘা জমিতে ড্রাগনের চাষ হয়েছে। যেকোনো বাণিজ্য হবে অন্তত ২০ কোটি টাকার। এছাড়া, ১০ থেকে ১৫ বছর ফল পাওয়া যায়। একইসঙ্গে বাগানে সাথী ফসল হিসেবে অন্য ফসলের আবাদ করা সম্ভব বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

নড়াইল সদর ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা বিএম জাহিদ শাকিল বলেন, ‘তরুণরা বিদেশ যাওয়া আশায় বা বেকার বসে না থেকে এখন চাইলে সহজেই ড্রাগন চাষ করতে পারে।’

নড়াইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘একবার ফল সংগ্রহণের পর বাগানে আর বেশি খরচ নেই।’

গেল বছর নড়াইল জেলায় ১৫৪ বিঘা জমিতে ড্রাগনের চাষ হয়। যার মাধ্যমে বাণিজ্য হয় প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

এএম