কিশোরগঞ্জে এবার এক হাজার ২১৬ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে তাড়াইল ও ইটনা উপজেলায়। তবে আবাদ বেশি হলেও আশানুরূপ দাম পায়নি কৃষকরা। ফলে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
কৃষকরা জানান, যেখানে গত বছর কুমড়া বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে, সেখানে এবার তা নেমে এসেছে ছয় থেকে দশ টাকায়। এরমধ্যে বেড়েছে সার, ডিজেল, কীটনাশক ও শ্রমিকের খরচও।
কৃষকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘গতবছর যে ওষুধ নিয়েছিলাম পাঁচ হাজার টাকায়, সেই ওষুধের দাম এবার আট হাজার টাকা।’
শান্তিপুর হাটে আগে প্রতিদিন কোটি টাকার বেশি মিষ্টিকুমড়া বিক্রি হতো। কিন্তু এবার তা নেমে এসেছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকায়। সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে বলে জানান পাইকার ও আড়ৎদাররা।
একজন পাইকার বলেন, ‘আমরা বাজারে বেচতে পারছি না, ফলে এটার প্রভাব পড়ছে কৃষকদের ওপর।’
একজন আড়তদার বলেন, ‘বাজারে ২০ টাকার নিচে আগে দাম ছিল না, এবার বাজারে দাম শুরুই হয়েছে ১৭ টাকা থেকে। এখন সেটা সাত টাকা থেকে আট টাকায় নেমে গেছে।’
জেলায় এবার আবাদ ভালো হলেও উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না কৃষকরা। কারণ বাজারে অন্যান্য সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় কুমড়ার দাম কমেছে বলে জানান জেলা কৃষি কর্মকর্তা।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ইমরুল কায়েস বলেন, ‘
জেলায় উৎপাদিত কুমড়ার পরিমাণ ৩৬ হাজার ৯২৪ টন। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী যার খুচরা বাজার মূল্য অন্তত ১০৪ কোটি টাকা।