পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সোনাগাজী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সেন্টু গ্রুপের উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুর আলম সোহাগের দাবি তাদের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। আর খুরশিদ আলম গ্রুপের দাবি তাদের গ্রুপের ৪০ জন আহত হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাদেকুল করিম আরাফাত জানান, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হচ্ছে সেন্টু গ্রুপের আসিফুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, নুর করিম, নুর আলম, ইব্রাহিম, এনায়েত হোসেন, ওমর হাসান জিসান, আবুল কাশেম, রাহাতুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবুল কালাম ও কামরুল হাসান।
খুরশিদ গ্রুপের আহতরা হচ্ছে রফিকুল ইসলাম, রহমত উল্যাহ শাহিন, ওসমান গণি জিহাদ, নুর ইসলাম সম্রাট, জাহেদুল ইসলাম রুবেল, এবিএস মারুফ, নুর আলম রিয়াদ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সেন্টুর এলাকায় হওয়ায় তারা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান মিরাজ ও রায়হানের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীদেরকে দিয়ে হামলা করায় বিএনপির একটি গ্রুপ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সোনাগাজী সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে সোনাগাজী জিরোপয়েন্টে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে যুবদল নেতা খুরশিদ আলম ভূঞা গ্রুপ। সে প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতিবাদে আজ সেন্টু গ্রুপ মিছিল বের করে। মিছিলটি বুধবার বিকেলে সোনাগাজী বাজারের পশ্চিম মাথায় গেলে খুরশিদ গ্রুপের সদস্যরা মিছিলে হামলা করে। এতে দু'গ্রুপের সংঘর্ষ লেগে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
সেনাবাহিনীর ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর ফাহিম জানান, সেনাবাহিনী উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, 'এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।'
এ ঘটনার খুরশিদ আলম গ্রুপের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের দাবি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রদল নেতা নুর আলম সোহাগ, মেজবাহ উদ্দিন পিয়াস ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাত্রদলের দুই নেতার ওপর হামলা করেছে। আজকে ঘটনার জন্যও তারা দায়ী।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুর আলম সোহাগ ও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং তাদের আশ্রয়ে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী জিসান, শুভ, ফাহিম, নিলয় ও হাসিবের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান মিরাজ ও রায়হানের ওপর হামলা হয়েছে।