শিবির ট্যাগ দিয়ে বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যার শিকার হন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর হাতে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকারের ঘটনা ঘটেছে নানা সময়ে।
গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও ঢাবিসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। ঢাবির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. রায়হান গত ১৯ জুলাই ছাত্রলীগের ধারালো কুড়ালের আঘাতে মারাত্মক জখম হন, সেলাই লাগে নয়টি। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের উল্লাসে তিনিও এসেছেন মিছিলে। এখন টিভির কাছে দেন সেদিনের বর্ণনা।
রায়হান বলেন, '১৫ তারিখের পর তো ধীরে ধীরে সবাইকে হল ছাড়তে হয়। এরপর ঢাকা থেকেই আন্দোলনে অংশ নেই। ১৯ তারিখে ছাত্রলীগের কয়েকজন আমাকে পেয়ে হামলা করে। আমি আহত হই। ওদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। কোনোভাবে জীবন নিয়ে বেঁচে ফিরি সেখান থেকে। তারপরও নয়টা সেলাই দিতে হয়েছে আমার।'
গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে নানা সময়ের নির্যাতনের কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই কণ্ঠে উঠে আসে। এছাড়া সিট বাণিজ্যের কারণে বরাদ্দ পেয়েও অনেকেই উঠতে পারেননি হলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেয়া আল্টিমেটামের একদিন আগেই ছাত্রলীগকে করা হয়েছে নিষিদ্ধ। তাই শিক্ষার্থীদের উল্লাস করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের পরও যেন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধই থাকে। এতে ছাত্র সংগঠনগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে বলে মনে করেন তারা।