রোববার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ১১টায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা যখন রাজধানী বৈরুতে রাফিক হারিরি বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছিলেন, তখনও বোমার শব্দে কেঁপে উঠছে বিমানবন্দর এলাকা।
বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে প্রথম ধাপে ৫৪ জন প্রবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ সরকার। এ তালিকায় ছিলেন ২৬ জন পুরুষ, ২০ জন নারী ও ৮ শিশু। বিমান বন্দর ছাড়ার আগে যুদ্ধকালীন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান প্রবাসীরা।
বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে লেবানন থেকে বাংলাদেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীর প্রায় ১ হাজার ৮শ'র কাছাকাছি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বাংলাদেশে ফিরতে ইচ্ছুক আবেদনকারীদের মধ্যে পাসপোর্ট, আকামা ও ট্রাভেল ডকুমেন্টস আছে এমন প্রবাসীর সংখ্যা মাত্র ১৬৭। অনিয়মিত অন্তত ১ হাজার ৬২৩ জনের কাছে নেই কোনো কাগজপত্র।
এ বিষয়ে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ২২ অক্টোবর, মঙ্গলবার দ্বিতীয় ফ্লাইটে নিবন্ধিত ৬৩ জন ও ২ শিশুসহ মোট ৬৫ জন প্রবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা আছে। লেবাননের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটার পর রওনা দিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে বাংলাদেশে পৌছানোর কথা ফ্লাইটটির। এছাড়া, ২৩ তারিখেও আগাম একটি ফ্লাইট বুকিং-এর চেষ্টা করছেন তারা। পাশাপাশি, চলতি সপ্তাহের শেষে অনিয়মিত প্রবাসীদের ধাপে ধাপে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো এরইমধ্যে নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিলেও লেবাননের ৯শ’ শরণার্থী শিবিরে তিল ধারণের জায়গা নেই। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বিদেশি শ্রমিক। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের তথ্য অনুসারে, শুধু এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে লেবাননে আসা শ্রমিকের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার। আর লেবাননের শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, এই সংখ্যাটি আড়াই লাখেরও বেশি।
যুদ্ধ থামলে আবারও লেবাননে ফিরতে চান বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। তাদের আশা, লেবাননে আটকে পড়া বাকি প্রবাসীদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।