জননিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী পুলিশের উপপরিদর্শক পদে চাকরির জন্য প্রার্থীকে শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এসব ধাপ পেরিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় প্রার্থীর। এরপর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থী 'আউটসাইড ক্যাডেট' হিসেবে সারদায় এক বছরের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
এবার আউটসাইড ক্যাডেট ব্যাচে ছিলেন মোট ৮০৩ জন প্রশিক্ষণার্থী। আউটসাইড ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে মাঠপর্যায়ে কাজে নামার কথা ছিল তাদের। কাজের একবছর পূর্ণ হলেই স্থায়ী হতো তাদের চাকুরি।
তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চাকরি হারাচ্ছেন প্রশিক্ষণরত ৪০তম ব্যাচের ২৫২ এসআই। যারা রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণে ছিলেন।
প্রশিক্ষণ চলার সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের চাকরি থেকে 'ডিসচার্জ' করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন উপদেষ্টারা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসআই অব্যাহতি রাজনৈতিক কারণে নয়।
তিনি বলেন, 'এটা একটা বড় ধরনের ডেফিনেশন। কারে কোন স্পেসেফিক কারণে ডিসচার্জ করা হয়েছে তা অ্যাকাডেমি বলতে পারবে। অ্যাকাডেমি থেকে বলা হয়েছে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে এটা করা হয়েছে। পাসিংআউটের একদিন আগেই কিন্তু সবাইকে চিঠি পাঠানো হয়, যেটা আমাদের সেনাবাহিনীতে দেখেছি। অনেকসময় এমনও হয়, দেখা যায় যে তিন বছর ট্রেনিং করার পর কাল পাসিংআউট তার আগেরদিন ১০ জন চলে গেলো। তাদের অ্যাসেসমেন্ট কনফারেন্স হয় সেসময় তো বের করে কার কার শৃঙ্খলা কী বা অন্যান্য কিছু কী না, ওইসময় হয়তো তারা বের করেছে কি না। এই সংখ্যা আমরা কীভাবে পূরণ করবো অনেকে বলছেন, আপনারা দেখেন যে আমরা নতুন বিজ্ঞাপন করেছি। এতে আমরা নিয়ে নেবো। যতদ্রুত সম্ভব আমরা নিয়ে নেবো।'
এসময় তিনি আরও বলেন, যেকোনো আন্দোলনে উস্কানিদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় অনুসন্ধান করা হবে। এছাড়া জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যেন আর অপরাধে জড়াতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে সরকার।