দেশে এখন
0

নদী ভাঙনে নোয়াখালীতে বিলীন মাইলের পর মাইল জনপদ

নোয়াখালীর মুছাপুরে রেগুলেটর ভেঙে জোয়ার-ভাটার প্রভাবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিলীন হচ্ছে মাইলের পর মাইল জনপদ। ভাঙন রোধে নদীর গতিপথ পরিবর্তনে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রাথমিকভাবে সমাধান হলেও স্থায়ী সমাধান চায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

উজানের ঢল ও বন্যার পানিতে গেল ২৬ আগস্ট ভেঙে যায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ২৩ ভেন্ট রেগুলেটর। পানির তোড়ে ভাঙতে শুরু করে লোকালয়।

ভাঙনের কবলে পড়ে এ জনপদের হাজারও পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়। নদীগর্ভে বিলীন হয় ঘর-বাড়ি, মসজিদ, দোকান-পাটসহ ফসলি জমি। এখনও থেমে নেই ভাঙন। যাদের এখনও ঘরবাড়ি টিকে আছে তারাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় একজন বলেন, 'নদী ভাঙন দেখা যাচ্ছে আবার। এতবছর এখানে আছি, এখন কোথায় যাবো, কীভাবে থাকবো আল্লাহ জানে। এর আগেও শতশত পরিবার এখান থেকে উঠে চলে গেছে। আমাদের অনেক জায়গা সম্পত্তি সব চলে গেছে। এখানে মাথা রাখার মতো একটা ঘর আছে এখন সেখানে পড়ে আছি।'

এ ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। সেই ধারাবাহিকতায় গেল বুধবার (১৬ অক্টোবরে) দুপুরে ছোট ফেনী নদীর জনতা বাজার অংশে ড্রেজিং শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে পরিবর্তন হবে নদীর গতিপথ, কমবে ভাঙনের হার। তবে স্থায়ী সমাধান হিসেবে নতুন রেগুলেটর নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় একজন বলেন, 'রেগুলেটর ধ্বংস হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত আমাদের বাড়িঘর যা কিছু আছে সবকিছু বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখানকার স্থানীয়রা রাস্তার ওপর আছে। এর আগে দীর্ঘদিন এ এলাকার মানুষ নদীভাঙন থেকে নিরাপদে ছিল।'

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী বলেন, 'তড়িৎগতিতে কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম, অস্থায়ী প্রটেকশন ওয়ার্কসহ অন্যান্য বাঁধসহ স্টাডি প্রজেক্টও আমাদের নেয়া হয়েছে। সবার আগে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাঙন রোধে নদীর গতিপ্রবাহ ডাইভার্ট করা যায় তার জন্য আমাদের ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।'

টেকসই ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার মাধ্যমে এই জনপদের ভাঙনরোধ হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এসএস