গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর ফার্মের মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু বাজারে নেই সেই দামের দেখা। তাই সকাল সকাল কাপ্তান বাজারের ডিম পট্টিতে অভিযানে আসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানের কথা শুনেই ডিমপট্টির ডিম ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি ডিম পাইকারিতে ১১ টাকা শূন্য ১ পয়সা বেঁধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা করে। দাম বেশি রাখার পেছনে বন্যা এবং সরবরাহ সংকটের সেই পুরনো অজুহাতই দিলেন এই ডিম ব্যবসায়ী।
এ সময় পাকা রশিদ না থাকায় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না করায় দুইজন ডিম ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং সাময়িক সময়ের জন্য দোকান সিল গালা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জানান বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই অভিযান চলমান থাকবে।
খুচরা দোকানে গিয়ে দেখা গেলো ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে, হালি হয়েছে ৬০ টাকা। ফলে এক পিস ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকায়। বন্যায় মুরগীর খামার ধ্বংস তার সাথে আমদানি কম এবং মধ্য স্বত্বভোগীদের উপর দায় চাপালেন খুচরা বিক্রেতারা।
ডিমের দাম বাড়ায় ক্রেতা কমেছে ডিমের। সিন্ডিকেট না ভেঙে এসব অভিযান বাজারে তেমন প্রভাব ফেলছে না বলে অভিযোগ ক্রেতারা।