দেশে এখন
0

কাঁথা-কম্বলের ভিড়ে বিলুপ্তপ্রায় নকশিকাঁথা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এখন বিলুপ্তপ্রায় আবহমান গ্রামবাংলার নকশিকাঁথা। রঙ-বেরঙের কাঁথা-কম্বলের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পটি। এছাড়া খরচের তুলনায় কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় অনেকেই ছাড়ছেন এই কাজ। এ অবস্থায় নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।

কোনো কাঁথায় ফুল, আবার কোনোটাতে ফুটে উঠেছে গ্রামীণ জীবনের চিত্র। সুঁচের ফোঁড় আর বাহারি রঙের সুতার মিশ্রণে এমন বিভিন্ন নকশা স্থান পাচ্ছে কাঁথায়। তৈরি হচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথা।

এভাবেই নকশিকাঁথা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার নারীরা। প্রতি মাসে তাদের আয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এই আয় দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন অনেকে।

আধুনিকতা ও রুচির পরিবর্তনে দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প। শ্রমের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে অনেকেই ছাড়ছেন এই পেশা। আগে অসংখ্য নারী এই হস্তশিল্পের সাথে যুক্ত থাকলেও এখন কাজ করছেন হাতেগোনা ৩০ থেকে ৪০ জন। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

শ্রমিকদের মধ্যে একজন জানান, বিভিন্ন ধরণের সুতা ব্যবহার করে কাঁথা তৈরি করি যার বাড়ে। কিন্তু আমাদের মুজুরি বাড়ে না।

আরও একজন জানান, কাঁথা কম্বল আসার কারণে আমাদের এই সুনামটা এখন আর নেই।

নকশিকাঁথা তৈরিতে সম্পৃক্ত নারীদের স্বাবলম্বী করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।

কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. রুবি আক্তার বলেন, 'উইমেন ট্রেনিং সেন্টারে বিজ্ঞান দর্জি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৩ মাস পর পর সার্কুলার দেওয়া হয়। আর ৩০ জন ভর্তি হয় এবং যাতায়াত ভাতা হিসেবে ১শ' টাকা দেওয়া হয়।'

সরকারি সহায়তা পেলে এতিহ্যবাহী এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন নকশিকাঁথা তৈরি ও বিপণনের সাথে জড়িতরা।