সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবি নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে আন্দোলন, বয়সসীমা বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আবারো আন্দোলনে নামে চাকরি প্রত্যাশীরা।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে গেল ৩০ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গেলে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর ওই দিনই একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দুই সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যার প্রধান করা হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে।
আজ (বুধবার, ২ অক্টোবর) কমিটির প্রথম অনুষ্ঠিত হয় সচিবালয়ে। সকাল ১১টায় বৈঠকে অংশ নেন আন্দোলনকারীদের ৮ জন প্রতিনিধিসহ কমিটির সদস্যরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন জানান, 'আমাদের কথা শুনেছেন এবং আমাদের দাবি যৌক্তিক। এই যৌক্তিকতার নিরীক্ষা আমাদের আলোচনাগুলো স্যাররা প্রশংসা করেছেন এবং স্যাররা আমাদের কথাগুলো বিশ্লেষণ করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।'
পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন কমিটির প্রধান। সরকারি চাকরিতে বাড়ানোর বিষয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তিনি।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, 'এখনকার যে বয়সটা সেটা বাড়ানো উচিত। ইউনিভার্সিটি সেশনজট এবং কোভিড এ সমস্ত কারণে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে। তাদের একটা রিলিভ দেয়া দরকার।'
এসময় তিন জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পরই জনপ্রশাসন বিভাগে সংস্কার কাজ শুরু হবে।