কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে চরাঞ্চল। চরাঞ্চলে বছরের এ সময়টায় কাশফুলের শুভ্রতায় ছেয়ে যায়। কাশফুল ফুটলেই বোঝা যায় ঋতুর পরিবর্তন ও শরতের সৌন্দর্য। কাশফুল দেখে মনে হয় নদ-নদীর পাড় জুড়ে সাদা মেঘ যেন মাটি স্পর্শ করছে। এই সাদার মায়ায় আকৃষ্ট হয়ে পথিক বার বার ছুটে আসে কাশফুলের সান্নিধ্যে।
কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কর্মব্যস্ততার মধ্য আজকে আসলাম ঘুরতে। এখানে এসে ভালো লাগছে।’
এলাকাবাসীদের মধ্যে একজন জানান, এখান এমন একটা অবস্থা রাখা দরকার। যাতে সবাই নিজেদের মতো এসে জায়গাটা উপভোগ করতে পারে।
গ্রামবাংলার প্রকৃতি পাল্টে যাচ্ছে দিন দিন। উজাড় হচ্ছে গাছপালা। ভরাট হচ্ছে জলাশয়। নদ নদীর পাড়ের মাটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে 'বালুখেকোদের' কবলে পড়ে। সেই সাথে বিলীন হচ্ছে নদী পাড়ের সমতল চরাঞ্চল। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে কাশফুলও। অতীতের মতো কাশফুল এখন আর চোখে পড়ে না। বালু উত্তোলনে যেমন নষ্ট হচ্ছে চরাঞ্চল তেমনি হুমকির মুখে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের নয়নাভিরাম এই কাশবনের সৌন্দর্য।
বালু উত্তোলনে নষ্ট হচ্ছে চরাঞ্চল এবং হুমকির মুখে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের নয়নাভিরাম এই কাশবনের সৌন্দর্য। ছবি: এখন টিভি
এলাকাবাসীদের মধ্যে আরও একজন জানান, আগে অনেক কাশফুল হতো। এখন অনেকটা কমে গেছে।
শরতের এ সৌন্দর্য ও নদীপারের চরাঞ্চল বালুখেকোদের কবল থেকে রক্ষার কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আশ্বাস পরিবেশ অধিদপ্তরের।
কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল্লাহ আল মতিন বলেন, 'যারা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে বা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
আবহমান বাংলার 'ঋতুর বৈচিত্র্য' নানা উপাদান দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও ঋতুর বৈচিত্র্য অনুভব করতে হলে ছুটে আসতেই হবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে। তাই একে বাঁচিয়ে রাখার দাবি সংশ্লিষ্টদের।