ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে প্লাবিত জনপদ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ ও দক্ষিণ লাকসামের বন্যা রূপ নিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতায়। প্রায় এক মাস ধরে পানিবন্দি লাখো মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। তলিয়ে আছে কাঁচা, পাকা গ্রামীণ সড়ক, ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি। এখনো বাড়ি ফেরা হয়নি কয়েকশ পরিবারের। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দেড় দশকে দখল হয়েছে পানি নিষ্কাশনের পথ। এমন অবস্থায় ডাকাতিয়া নদীসহ সব খাল খননের পাশাপাশি অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান তারা।
লাকসামের ডাকাতিয়া নদী থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনী খাল পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যেরে বেরুলা খাল দিয়ে হতো বর্ষার পানি নিষ্কাশন আর শুস্ক মৌসুমে চলতো সেচের কাজ।
বছরতিনেক আগে বেরুলা খাল ভরাট করে প্রভাবশালীরা। যা ছিলো মনোহরগঞ্জ ও দক্ষিণ লাকসামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। একসময় পালতোলা নৌকা চলা এ খাল ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে কুমিল্লা-নোয়াখালী চারলেন সড়ক, ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, খাল খননের অভাবে কমছে পানির প্রবাহ। আর পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে-- দখল, ভরাট ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে।
এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয় কুমিল্লার ১৪টি উপজেলা। অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নামলেও এখনো জলাবদ্ধ মনোহরগঞ্জ ও দক্ষিণ লাকসাম।