দেশে এখন
0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে পরম যত্নে প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পীরা। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা। আর কয়েকদিন পরই রং-তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তোলা হবে দেবী দুর্গাসহ অন্যান্য দেবতাদের প্রতিমা।

জেলায় শতাধিক শিল্পী এবার দুর্গাপূজার জন্য প্রতিমা তৈরি করছেন। পূজার সময় ঘনিয়ে আসায় শিল্পীদের ব্যস্ততাও বেড়েছে অনেক। রাত-দিন কাজ করে গড়ে তুলছেন দেবী দুর্গাসহ অন্য দেবতাদের প্রতিমা। তাদের সুনিপুণ কারুকাজে যেন প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে প্রতিমাগুলো।

তবে এবার বড় মণ্ডপের চেয়ে ছোট মণ্ডপ হচ্ছে বেশি। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা হচ্ছে না শিল্পীদের। এছাড়া বেড়েছে উপকরণের দাম। শিল্পীদের সঙ্গে তাদের সহযোগীরাও পূজার এই মৌসুমে বাড়তি টাকা আয় করেন প্রতিমার কাজ করে। এবার ভাটা পড়েছে তাদের আয়েও।

প্রতিমা শিল্পীদের মধ্যে একজন জানান, সবমিলে আমরা খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করছি। রাতের ৩ টা, ৪ টা পর্যন্ত কাজ করি।

শ্রমিকদের মধ্যে একজন জানান, নানা সমস্যার কারণে বড় মন্ডপে বড় রেটে কোনো কাজ পাওয়া যায়নি এবার।

প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত বেলে ও দোআঁশ মাটির দাম গেলো বছরের তুলনায় প্রতি ট্রাকে প্রায় ২ হাজার টাকা বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে বাঁশ ও খড়ের দামও।

সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা, আর্থিক সংকট এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এবার দুর্গোৎসবের কলরব কমছে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, 'আমার দেশের মানুষ বানভাসি হয়েছে তাহলে আমার মধ্যে আনন্দটা কীভাবে আসবে। আমার দেশের এতোগুলো ছাত্র যে শহীদ হয়েছে তারা তো আমাদেরই ভাই। আমাদের পূজাটা শাস্ত্রীয়ভাবেই হবে শুধু লাইট, আলো, রঙিন বাতি এগুলো জ্বালাবো না।'

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ৫২৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গেলো বছরের তুলনায় ৭৩টি মণ্ডপ কম। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।