দেবী দুর্গাকে কুমারী রূপে কল্পনা ও নারীকে সম্মান, মর্যাদা দিতে অস্টমীতে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার।
চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা শ্যামল সাধু মন্দিরে পুরো চট্টগ্রাম থেকে জড়ো হন ভক্ত, অনুসারীরা। ঢাক ঢোল কাঁসর বাদ্য আর উলুধ্বনিতে চলে প্রার্থনা।
কুমারী রূপে আনা হয় ১০ বছর বয়সী প্রীতি ধর ও ১১ বছর বয়সী সুভদ্রা বিশ্বাসকে। তাদের নাম দেয়া হয় অপরাজিতা। কুমারিকে ফুল, জল, অগ্নি ও বস্ত্র দিয়ে মন্ত্রপাঠ শুরু করেন পুরোহিত। এর আগে চট্টগ্রামে মোট ২ হাজার ৪শ'টি পূজামণ্ডপে বিহিত পূজা, সন্ধিপূজার পর অঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
অষ্টমী ও নবমীর তিথি একই দিনে হওয়ায় ময়মনসিংহের মণ্ডপগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে এবার ৭ বছর বয়সী সম্প্রীতি শারদীয়া রায়কে কুমারী মালিনী রূপে পূজা করেন পুণ্যার্থীরা। চলে ঢাক-ঢোল, কাঁসরঘণ্টা, উলুধ্বনি আর পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ। পরে দেবীর চরণে অঞ্জলি প্রদান করে নিজের, দেশের এবং পৃথিবীর সকল মানুষের কল্যাণ কামনা করেন পুণ্যার্থীরা।
আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্যদিয়ে রাজশাহীতে চলে শারদীয় দুর্গোৎসবের অষ্টমী ও নবমীর আনুষ্ঠানিকতা। প্রথমে চলে কল্পারম্ভ, অষ্টমী বিহিত এবং সন্ধিপূজা। পরে শুরু হয় কুমারী পূজা। এবারে কুমারীর হিসেবে আসনে বসেন ৪ বছরের অভিলাশা জয়সোয়াল।
এদিকে ফরিদপুরের রামকৃষ্ণ মিশনে মন্দিরে ঢল নামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের। পরে উলুধ্বনিতে স্বাগত জানানো হয় ছয় বছর বয়সী অনুরুপা চক্রবর্তীকে। পরে দেয়া হয় পুষ্পাঞ্জলি।
খুলনা জেলায় ৯৯১টি পূজামণ্ডপে চলে পূজার আয়োজন। নগরীর প্রতিটি পূজামণ্ডপে ভিড় ছিল ভক্তদের। দেবীদুর্গার কাছে শান্তি এবং শুদ্ধের প্রার্থনা ছিল সবার।
আজ (শুক্রবার, ১১ অক্টোবর) ভোর থেকেই অঞ্জলি নিতে বরিশালের মণ্ডপগুলোতে ভিড় করেন ভক্তরা। পূজা শেষে হাতের মুঠোয় ফুল, বেলপাতা নিয়ে মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পূজার প্রথম অঞ্জলি দেন দেবীর পায়ে।