পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন
0

বন্যার পর ফেনীবাসীর নতুন আতঙ্ক নদীভাঙন

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ফেনীতে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ফেনী সীমান্তে নোয়াখালীর মুছাপুর রেগুলেটর না থাকায় ভাঙনের মাত্রা বাড়ছে। সোনাগাজীতে বিলীন হচ্ছে উপকূলীয় বিস্তীর্ণ জনপদ। তীব্র ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় শুরু হয়েছে নদীভাঙন। ফেনী নদীর তীরজুড়ে ভাঙনের এমন চিত্র প্রতিদিনের। এভাবেই ভাঙছে জনপদ এবং বিলীন হচ্ছে ঘরবসতি ও ফসলি জমি। ভিটেমাটি হারাচ্ছে তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

সোনাগাজীর চর মজলিসপুর এলাকার কাটাখিলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাবু। তীরপাড়ের বাড়িতে লেগেছে ভাঙন। আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়ায় বিরান পড়ে আছে ঘর-দোর। হয় তো কেমন অপক্ষো নদীর বুকে বিলীন হওয়ার।

এমন ভাঙনের শিকার ২ শতাধিক পরিবার। সবার চোখে মু্খেই এখন সর্বস্ব হারানোর শঙ্কা। ইতোমধ্যেই বিলীন হয়েছে এলাকার বেশ কয়েকটি সেতু ও রাস্তাঘাট।

গত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে ভাঙছে নদী। গেলো বছর এ অঞ্চলের ১৫টি পরিবারের বাড়িঘর চলে যায় নদীর পেটে। গেলো ৫ বছরে অন্তত অর্ধশত পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে নদীগর্ভে।

গেলো মাসের ২৬ আগস্ট ফেনী সীমান্তে নোয়াখালীর মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে পড়ার পরপরই প্রবল স্রোত ও পানির তোড়ে নদীর কূলে বড় বড় ফাঁটল দেখা দেয়। পানি কমে আসায় এখন মাটি ভেঙে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে নদীতে। কোনো উপায় না পেয়ে নদীপাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

নদী ভাঙন ও মুসাপুর রেগুলেটরে পুনর্নির্মাণ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে এ রেগুলেটরটি ‍পুনর্নির্মাণ করা যায়। এবং সাম্প্রতিক সময়ে আমরা জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ গ্রহণ করেছি, যাতে ভাঙন থেকে এলাকা রক্ষা করা যায়।’

স্থানীয়রা বলছেন, মুসাপুর রেগুলেটরি ফের মেরামত হলে নদী ভাঙন থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন তারা। নোয়াখালী ও ফেনীর ১৩০ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নোয়াখালীর সড়ক বিভাগ ও জনপথ ২০১৫ সালের মার্চে ৩০৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় ২২টি রেগুলেটর বিশিষ্ট সেতুটি নির্মাণ করে।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর