শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ২০১০-১১ সালে সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করে অস্থায়ী ও চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন ২ হাজার ৩৪৬ জন চিকিৎসক। পরে, ২০১৫ সাল ও তার পরে এসব চিকিৎসককে অবৈধভাবে পদায়ন, পদোন্নতি দেয়ারও অভিযোগ উঠছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে, এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।
এসময় বক্তব্যে বলা হয়, সরকারি চাকরিবিধির গুরুতর লঙ্ঘন ঘটিয়ে ক্যাডার পদসমূহে ভিন্ন নিয়োগবিধির আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক এবং প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি দেয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু দুষ্কৃতকারী কর্মকর্তা। অদ্যাবধি প্রায় সহস্রাধিক বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিধি বহির্ভূত পদায়ন এবং ক্যাডার কর্মকর্তাদের অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্তদের অধীন করা ইত্যাদি কার্যক্রম চরম আকার ধারণ করেছে।
কোন ধরনের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ, বিভাগীয় ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়াই এদের পদোন্নতির কঠোর সমালোচনা করা হয়।
বিসিএস পরীক্ষায় ফেল করেও অবৈধ পদোন্নতিকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করায় স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রায় ৩৫ হাজার কর্মকর্তা বৈষম্যের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এসব অনিয়মের মাঝেই ২০২৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চাকুরি বিধিমালা শিথিলের জন্য পরিমার্জনা চেয়ে পরপর ৩টি চিঠি পাঠানো হয়।
প্রথম দু’দফায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অসম্মতি জানালেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৃতীয়বারের অনুরোধে বিসিএস নিয়োগবিধি সংশোধন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সবশেষ ৩ সেপ্টেম্বর অতীতের অবৈধ সিদ্ধান্তকে বৈধতা দিতে পিএসসির সুপারিশকে ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য ক্যাডাররা।
যোগ্যতার মাপকাঠি ছাড়াই রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ ও পদোন্নতি পাওয়া চিকিৎসকদের কাছে রোগীরা কতটা মানসম্পন্ন সেবা পাবে তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ পদোন্নতি বাতিল ও বর্তমান চাকরি বিধিমালা অনুসরণের জোর দাবি চিকিৎসকদের।