কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসা কার্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী সাধারণ নাগরিক সমাজের ব্যানারে একটি সংগঠন। ঘেরাও করা হয় ওয়াসা ভবন। দাবি বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদত্যাগসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা।
অনিয়ম-দুর্নীতি ও বিক্ষোভের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হলে বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগের নজরে আসে। গঠন করা হয় ৩ সদস্যের তদন্ত টিম। স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত টিম শনিবার অভিযোগ তদন্তে চট্টগ্রাম ওয়াসায় আসেন। কথা বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে। এসময় তদন্ত দলের প্রধান বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে উঠা অভিযোগ তারা খতিয়ে দেখছেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান।
এদিকে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল্লাহ'র দাবি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ওয়াসা বোর্ডের মাধ্যমে সরকার তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
২০১১ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসার বর্তমান এমডি পানি সরবরাহে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এছাড়া পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে ২০১৮ সাল থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি। পাঁচ বছরে এ কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩০ শতাংশ। প্রতিটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সচেতন নাগরিক সমাজ।
এছাড়া প্রয়োজনমতো পানি না পাওয়া, পানিতে লবণাক্ততা ও সিস্টেম লসসহ ওয়াসার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দীর্ঘদিনের।