দেশে এখন
0

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে শাহবাগে আউটসোর্সিং কর্মীদের বিক্ষোভ

তীব্র যানজটে ভোগান্তি

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কয়েক হাজার কর্মী। বৈষম্য দূরীকরণের পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তারা। সমাবেশের কারণে শাহবাগ ঘিরে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তীব্র যানজটে সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি।

আউটসোর্সিং, দৈনিক মজুরিভিত্তিক নিয়োগ ও প্রকল্পে কর্মরতদের বহাল রেখে এবং বয়সসীমা শিথিল করে চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্তরা। এছাড়া ২০১৮ সালের আউটসোর্সিং নীতিমালা বাতিলেরও দাবি তাদের।

দাবি আদায়ে আজ (শনিবার, ১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েক হাজার হাজার কর্মী। এলজিইডি, ওয়াসা, সচিবালয়, রাজউক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ বহু সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন জানান, ঠিকাদারি প্রথা বিলুপ্ত করে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে বয়সসীমা শিথিল করে জাতীয়করণের দাবি জানান। তুলে ধরেন দীর্ঘদিনের বঞ্চনার ইতিহাস। মাস শেষ হলে তিন থেকে চার মাস পরে আমরা বেতন পাই। আমরা কোনো সাপ্তাহিক ছুটি পাই না বলেও জানান এক আন্দোলনকারী।

আরও দুইজন জানান, এখানে যারা আছে বলুক ঠিক মতো বেতন পায় কিনা। আমি বেতন পাই ১৮ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু ঠিকাদার আমাকে দেয় ১৫ হাজার টাকা। আমাদেরকে যখন তখন নোটিশ দিয়ে দিবে তোমার চাকরি নাই । আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে চাই।

বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ ও এর আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এ সময় অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটিতে বড় দুটি হাসপাতাল ও সরকারি স্থাপনা থাকায় সবধরণের আন্দোলন শাহবাগে না করার অনুরোধ জানান ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরাদের মধ্যে একজন জানান, যানজটে আটকে আছি। যাবো সাইন বোর্ড। রোগী নিয়ে হাসপাতালে বের থেকে বের হয়েছি। তাহলে বোঝেন কতটা কষ্ট হচ্ছে।

আরও একজন জানান, আন্দোলন করে কিন্তু এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা সাধারণ জনগণ।

বেলা ১টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। তবে দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলেও ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে গত ১৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একই দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন আন্দোলনকারীরা।