স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

ঢাকা মেডিকেল পুরোদমে চালু হয়েছে বহির্বিভাগ সেবা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ডিএমসি) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পর পুরোদমে চালু হয়েছে বহির্বিভাগ সেবা। এ অবস্থায় বেড়েছে রোগীর চাপ। যথাসময়ে ডাক্তার না আসারও অভিযোগ ছিল রোগীদের।

সেবা পেয়ে স্বস্তিতে আছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীরা।

একজন রোগী বলেন, 'এখন অনেক ভালো, সুযোগ-সুবিধা অনেক হয়েছে। এখন গেলেই ডাক্তার পাচ্ছি। পাঁচটা পরীক্ষাও করছি একদম কম টাকা দিয়ে। বিশ্বাসই হচ্ছে না যে এই কম টাকায় এই পরীক্ষা করতে পারবো।'

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় দু'দিন বন্ধসহ এক দিন সীমিত আকারে সেবা দেয়ার পর আজ (বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর) পুরোদমে চালু হয়েছে বহির্বিভাগ সেবা। সকাল থেকে বহির্বিভাগের সামনে ভিড় দেখা গেছে রোগীদের।

একজন রোগী বলেন, 'সকালে ডাক্তার দেখাইছি, টেস্ট দিছে। করে আসছি, এখন ডাক্তার আবার আসবে, এসে আবার দেখবে। সেনাবাহিনী মনিটরিং করতেছে। তারা থাকাতে আমরা সাধারণ রোগীরা অনেক হেল্প পাচ্ছি।'

এ সময় কারও কারও কণ্ঠে ছিল অভিযোগের সুর। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও ডাক্তার চেম্বারে আসেননি বলে জানান তারা।

একজন রোগী বলেন, 'বৃহস্পতিবারে রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলছিল, আসছিলাম তখন বলছে রোববারে আসার জন্য। তা সেদিন তো ঝামেলা করে আর দেখেনি। বুধবার আসতে বলছে। এখন দুপুর হয়ে যাচ্ছে, ডাক্তার আসেনি।'

হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। সিভিল ড্রেসে ছিলেন আনসার সদস্যরা। হাসপাতালজুড়ে তৈরি করা হয় নিরাপত্তা বেস্টনি।

রোগীদের সেবা দিতে পূর্ণ প্রস্তুতির রয়েছে বলে জানান হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা.. মুহাম্মদ কামরুল হাসান। জনবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত পরিবর্তনের কথাও জানান তিনি।

মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান ডা. মুহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রেক্ষিতে এখন পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক। আমাদের হাসপাতাল প্রশাসন এ বিষয়ে খুবই সহযোগিতা প্রদান করছে। যারা বহির্বিভাগে সেবা নিচে প্রত্যাশী, তাদের বলবো আপনারা আসবেন, আমাদের চিকিৎসকদের দেখাবেন, আমাদের থেকে পরিপূর্ণ সেবা পাবেন ইনশাআল্লাহ।'

নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তনে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা বাস্তবায়ন হলে পরিবর্তন আসবে স্বাস্থ্যসেবা খাতে। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসএস