স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

দাবি মানার পরও চলমান আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার যৌক্তিকতা নেই: ঢামেক পরিচালক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের প্রেক্ষিতে চালু রয়েছে জরুরি বিভাগ। তবে, বন্ধ আছে বর্হিবিভাগ সেবা। এ অবস্থায় জরুরি বিভাগে বেড়েছে রোগীর চাপ। অনেকেই সেবা না পেয়ে ছুটছেন অন্য হাসপাতালে। অন্যদিকে কিছু দাবি মানার পরও চলমান আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার যৌক্তিকতা নেই বলে মত হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের।

শয্যাশায়ী মায়ের চিকিৎসা করাতে না পেরে যেন দিশেহারা অবস্থা পটুয়াখালী থেকে আসা ফরিদের। তার মতো অনেকেই সেবা নিতে এসে বিপাকে পড়েছেন। জানেন না কখন মিলবে ডাক্তারের দেখা।

স্বাস্থ্য সেবায় এমন স্থবির পরিস্থিতিতে ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত রোগীদেরও পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। এই যেমন কলেজ ছাত্র ইফরানের পায়ে গুলি লাগে ১৯ তারিখ। চিকিৎসা পরবর্তী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে এলেও মেলেনি চিকিৎসকের দেখা। এমন আরও অনেকের দেখা মিলেছে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের সামনে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষমাণ অনেক রোগীর দেখা মিলেছে, যারা দুই দিন ঘুরেও ভর্তি হতে পারেননি। কখন মিলবে কাঙ্ক্ষিত সেবা, তাও অনিশ্চিত।

হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় 'কমপ্লিট শাটডাউন' এর ঘোষণা দেয় চিকিৎসকরা। তবে, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার আশ্বাসে জরুরি বিভাগ চালু হলেও এখনও বহির্বিভাগ সেবা বন্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় হাসপাতালটিতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দ্রুত সংকট সমাধানের কথা জানালেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। চলমান আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার যৌক্তিকতা নেই বলেও মত তার।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, 'আমি মনে করি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আর যুক্তি নেই। তাদের যে দু'টি দাবি ছিল, সেটা তো অথরিটি পূরণ করেছে। কর্তৃপক্ষ এখনও সচেষ্ট আছে বাকি আসামিদের ধরার ব্যাপারে। আর আউটডোর ছাড়া সকল বিভাগেই ডাক্তাররা আছেন। অন্তর্বিভাগে যত ডাক্তার নিয়োজিত থাকে তারা থাকার কথা, যদি না থাকে সেটা আমরা দেখবো।'

অভিযোগ রয়েছে, ঢামেকের এই হামলাকে কেন্দ্র করে নীরবে 'অন্য খেলায়' নেমেছেন স্বাচিপপন্থি চিকিৎসকরা। বিভিন্ন সোসাইটিকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা বন্ধ করে চিকিৎকদের পথে নামানোই তাদের লক্ষ্য বলে অভিযোগ রয়েছে।

tech