আজ (বুধবার, ২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নে পেঁয়াজ তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয় পক্ষের ১২-১৪ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের মোড়াগ্রাম এলাকায় ঠান্ডু মোল্লা (শামচুদ্দিন ঝুনু মিয়া সমর্থক)ও মিজান মোল্লা (খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থক) পেঁয়াজ তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০-১২ জন আহত হয়। এর মধ্যে ঠান্ডু গ্রুপের স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল মোল্লাকে (২৭) আশংঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।'
এদিকে ফরিদপুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানা এসআই শেখ আহাদুজ্জামান জানায়, সদর উপজেলার চাঁদপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে দুপুরে ঈদ উপলক্ষে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় চর চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দারা দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে খেলায় অংশ নেয়। খেলা চলাকালীন সময়ে নজরুল বেপারীর ছেলে বাদশার সাথে আকিদুল শেখের ছেলে নাজমুলের বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থানীয়রা দুই জনকে শান্ত করে মিটমাট করে দেয়।
বিকেলে এরই জের ধরে বাদশা ও নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা এবং আত্মীয়স্বজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়। গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংবাদ পয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
