স্থলপথে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম আখাউড়া স্থলবন্দর। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭শ' যাত্রী এই বন্দর ব্যবহার করেন। ভারত ভ্রমণের জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে ১ হাজার টাকা ভ্রমণ কর দিতে হয়। যা বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস।
তবে গেল ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার সীমিত করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। এসময় মেডিকেল ভিসার যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রেখে ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসার যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়।
টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গেল ১৬ আগস্ট থেকে স্বাভাবিক হয় যাত্রী পারাপার। তবে আকস্মিক বন্যায় গেল ২১ আগস্ট আবারও হোঁচট খায় বন্দর কার্যক্রম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ৫ দিন বন্ধ থাকার পর গেল সোমবার দুপুর থেকে ফের যাত্রী পারাপার শুরু হয়। তবে এখনই সব ভিসাধারীরা আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করতে পারছেন না।
যাত্রীদের একজন বলেন, ‘আগের মতো যাত্রী নেই এখন। খুব কম যাত্রী যাচ্ছে ভারতে।’
প্রতিদিন ১ থেকে দেড়শ যাত্রী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত গমনাগমন করছেন। যাত্রী সংখ্যা সীমিত হওয়ায় কমেছে সরকারের রাজস্ব আহরণও। এছাড়া সবমিলিয়ে ১৫ দিন বন্ধ থাকায় সরকারের অন্তত ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব কম আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও শিগগিরই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু আশা ইমিগ্রেশন পুলিশের।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম বলেন, 'চলমান পরিস্থিতিতে যাত্রী কম ছিল। তবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি যাত্রীও বাড়তে শুরু করেছে। ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে যাচাই বাচাই করে যাত্রীদের যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছি।'
ভ্রমণ, চিকিৎসা ও ব্যবসাসহ নানা কাজে ভারত গমনে জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে আখাউড়া স্থলবন্দর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভ্রমণকর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয় প্রায় ১৪ কোটি টাকা।