প্রথম দিন সকালের দিকে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীচাপ কমে যায়। বিকেলে অফিস ছুটির সময়ে আবারও যাত্রীচাপ বাড়তে পারে।
এদিকে মেট্রোরেল চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটের যাত্রীরা। জানান, মেট্রোরেলের কারণে সড়কের যানজট থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন তারা।
এদিকে আগারগাঁও মেট্রোস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘১৭ তারিখ মেট্রোরেল চালু না হওয়ার কারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে না ফেরা। তাদের আন্দোলনের কারণেই দেরি হলো চালু করতে। সবার প্রচেষ্টায় চালু করা গেলো সেটাই স্বস্তি।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলকে এসেনশিয়াল সার্ভিস (জরুরি সেবা) ঘোষণা করা হবে। যাতে ইচ্ছে করলেই কেউ এর চলাচল ব্যাহত করতে না পারে। যে দুটি স্টেশন বন্ধ আছে। সে দুটি চালু হতে ১ বছর লাগবে না। তার আগেই আমরা চালু করতে পারবো। জাপানি প্রকৌশলীদের সাথে সে বিষয়ে আলাপ চলছে। জাপানি রাষ্ট্রদূতেরও সহযোগিতা চাওয়া হবে। এই ধ্বংসযজ্ঞ ছাত্রদের কাজ নয়। দুস্কৃতিকারীদের কাজ এটা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে গতকাল (শনিবার, ২৪ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ডিএমটিসিএল) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চালানো হয়েছে। রোববার মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব।
এর আগে ডিএমটিসিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেল ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী ডিএমটিসিএল-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। এছাড়াও অনিবার্য কারণবশত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে আপাতত মেট্রোরেল থামবে না এবং যাত্রীসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় মেট্রো লাইনের নিচের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই মেট্রো ট্রেন চলাচল করে। সেদিন বিকেলে জননিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।