বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ভারতের নদ-নদী এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম। একইভাবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও ভারি বা অতিভারি বৃষ্টি হয়নি। ফলে বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্রগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
আর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছ ৬টি নদীতে, যা দুইদিন আগেও ৯টি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছিলো (কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, গোমতী, ফেনী, মুহুরি)। মধ্যাঞ্চলে নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, চলমান ভয়াবহ বন্যায় দেশের ১১টি জেলার ৭৭টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮ পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন মানুষ।
বন্যায় ১৮ জন নিহত হয়েছে বলেও জানায় বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, চট্টগ্রাম জেলার জন্য ৩৫ লাখ নগদ টাকা ও এক হাজার ৬০০ টন চাল, কুমিল্লার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ও দুই হাজার ৬০০ টন চাল, ফেনীর জন্য ৬২ লাখ টাকা, দুই হাজার ৯০০ টন চাল ও ছয় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নোয়াখালীতে ৪৫ লাখ টাকা ২ হাজার ৬০০ টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, লক্ষীপুরে ১০ লাখ টাকা ও ৫০০ টন চাল, খাগড়াছড়িতে ১০ লাখ নগদ টাকা ও ৫০০ টন চাল, কক্সবাজারে ২০ লাখ নগদ টাকা ও ৫০০ টন চাল দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সিলেটে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, দুই হাজার ৬০০ টন চাল ও চার হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, মৌলভীবাজার নগদ ৩০ লাখ টাকা, দুই হাজার ৩৫০ টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, হবিগঞ্জে ৩৫ লাখ টাকা, দুই হাজার ৪০০ টন চাল ও তিন হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ লাখ টাকা ও এক হাজার ৬০০ টন চাল ত্রাণ দেয়া হয়েছে।