দেশে এখন
0

টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে বন্দরনগর চট্টগ্রাম

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রামের অধিকাংশ নিচু এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। দোকানপাটে পানি ঢুকে নষ্ট হচ্ছে মালামাল। দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। এদিকে, শহরের বাইরে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে হালদা নদীর পানি। এতে আতঙ্ক বাড়ছে নদী পাড়ের মানুষের।

হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি, কোথাও আবার বুক সমান। তবুও যেতে হবে গন্তব্যে। এ দৃশ্য বন্দরনগর চট্টগ্রামের।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাতালগঞ্জ, ষোলশহরসহ অধিকাংশ নিচু এলাকার মানুষ। অফিসগামী ও জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। সড়কে গণপরিবহন না থাকায় ভরসা এখন তিন চাকার রিক্সা। সেখানেও গুনতে হচ্ছে তিনগুণ ভাড়া।

যাত্রীরা জানায়, ভোগান্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না আর ভাড়া তো ৪গুণ বেশি।

রিক্সাচালক একজন বলেন, 'এক কোমর পানির মধ্যেও গাড়ি চালাইতে হয় আমাদের এইজন্যই ভাড়া বেশি নিতেছি।'

বাসা বাড়ি, দোকানপাট ও মার্কেটে পানি ঢুকে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে পণ্য সামগ্রী ও মূল্যবান আসবাবপত্র।

পথচারীদের একজন বলেন, 'বাসা বাড়িতে পানি ব্যবসা বাণিজ্য তলায় গেছে আর এতো পানি হইলে কাস্টমাররা কিভাবে বের হবে।'

চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনটি সংস্থা গেল অর্থ যুগ ধরে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যাতে খরচ হচ্ছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এত এত টাকা খরচ করেও কোন সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। জলাবদ্ধতা অনেক প্রকল্প হাতে নিলেও সম্বন্বয় হীনতার কারণে তা সফল হয়নি।

এদিকে টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রাম শহরের বাইরে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। বন্যা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে ২৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া গঠন করা হয়েছে ১২৭টি মেডিকেল টিম। হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর