মঙ্গলবার রাত থেকে আরেকদফা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে শঙ্কা বেড়েছে বন্যাকবলিতদের মাঝে। তবে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে কুমিল্লায়।

কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ২টি উপজেলা। পানিবন্দী মানুষের উদ্ধার তৎপরতা আরও জোরদারের আকুতি বন্যা দুর্গতদের। ক্রমেই তীব্র হচ্ছে খাবার সংকট। পানি আরও বাড়লে সৃষ্টি হবে মানবিক বিপর্যয়। এদিকে, বন্যায় এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় মারা গেছেন সর্বোচ্চ ৬ জন।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রামের অধিকাংশ নিচু এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। দোকানপাটে পানি ঢুকে নষ্ট হচ্ছে মালামাল। দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। এদিকে, শহরের বাইরে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে হালদা নদীর পানি। এতে আতঙ্ক বাড়ছে নদী পাড়ের মানুষের।

সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সকল পর্যটনকেন্দ্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।