দেশে এখন
0

অগ্নিকাণ্ডের পর বরিশাল নগরীতে ইপিআই টিকা কার্যক্রম বন্ধ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবনে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ইপিআই কার্যক্রমের রেফ্রিজারেটর, ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার এবং টিকা। বন্ধ রয়েছে নগরীর ১০৩টি টিকাদান কেন্দ্রে কার্যক্রম। বিপাকে টিকাগ্রহীতারা। কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্রিজ ও ক্যারিয়ার পেলে শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, টিকা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বরিশাল নগরীতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর টিকা সংরক্ষন করা হতো সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবনে। সেখানে ছিল আইএলআর ডিপ ফ্রিজ ও টিকা বহনের বিশেষ বক্সসহ যাবতীয় সরঞ্জাম। তবে গেল ৫ আগস্ট এনেক্স ভবনে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে যায় সবকিছু।

অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বন্ধ রয়েছে টিকাদান কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম। এতে বিপাকে পড়েছেন টিকা গ্রহীতা ও তাদের স্বজনরা।

টিকা গ্রহীতা ও তাদের স্বজনরা বলেন,'আমি নগর সাস্থ্যকেন্দ্রেই দিতাম ওইখানে নাই বলেই এইখানে আসলাম।''তারা বলছে যে মিডিকেলে যাওয়ার পর টিকা ওইখান থেকেই দিতে হবে।'রুপাতলী বটতলা এইখানেই ভ্যাকসিন দিতাম কিন্তু ওইখআনে ভ্যাকসিন ছিলোনা এইজন্য এইখানে আসছি।'

বর্তমানে নগরীর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সরকারী হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে চালু রয়েছে ইপিআই টিকা কার্যক্রম। এতে ভিড় বেড়েছে এসব কেন্দ্রে। দেখা দিয়েছে গর্ভবতী মায়েদের টিকার সংকট। একই সঙ্গে শিশুদের বিভিন্ন রোগের টিকা শেষ হয়ে গেছে. বলছেন এসব কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা।

কাউনিয়া নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ তাসলিমা বেগম বলেন,'এনেক্স ভবনে যখন আগুনে পুড়ে ভ্যাকসিন তখন আর দ্বিতীয় ডোজটা দিতে পারি নাই কিন্তু দ্বিতীয় ডোজটা আবার কবে দিতে পারবো যেহেতু ভ্যাকসিন পুড়ে গেছে সেটা আমরা বলতে পারিনা যখন আসবে তখন হয়তো আবার দিতে পারবো।'

বরিশাল শেবাচিম টিকা কেন্দ্রের ইনচার্জ,ফরিদা খানম বলেন, 'একটা বাচ্চার দেড়মাস বয়স হইলে মুখের পোলিও ভ্যাকসিনসহ ৫ টা ভ্যাকসিন পায় সেখানে আমাদের আছে বিসিজা এবং পেনটা । ৯মাস এবং ১৫ মাস এর বয়সী বাচ্চারা যে ভ্যাকসিনটা পায় ওইটা আছে।'

সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। শিগগিরই নগরীর টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে আবার টিকা দেয়া শুরু হবে বলে আশাবাদী তারা।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী সুলতানা বলেন ,'এরমধ্যে আমরা ওয়াল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের যিনি প্রতিনিধি আছেন তাকে জানিয়েছি, ইউনিসেফ ও ইপিআই ভবন গুলাতে জানিয়েছি ,স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে জানিয়েছি তারাও চেষ্টা করছে কিন্তু এ সপ্তাহে আমরা পারি নাই আনতে । আমরা এই সপ্তাহে বা পরের সপ্তাহ থেকে শুরু করতে পারব।'

এদিকে কোন শিশু যেন টিকা কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের বরিশালের পরিচালক। চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, 'ভ্যাকসিনটা পাওয়ার সাথে সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মীর সাথে আমার কর্মী যদি প্রয়োজন হয় তাহলে বাড়ি বাড়ি যেয়ে শিশুদের এই টিকার আওতায় আনা হবে।'

বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রতি মাসে ১৫শ'র বেশি শিশু ও নারীকে টিকা দেয়া হয়। এর মধ্যে এক হাজার শিশু ও বাকিরা নারী।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর