এর আগে গত ৭ জুলাই দিবাগত রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বিএনপির চেয়াপারসন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জরুরি ভিত্তিতে পরদিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি দেয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক গেজেটে বলা হয়, বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি এ আদেশ দিয়েছেন।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'যেকোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও স্থগিত মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।'
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ স্ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা দেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে হাইকোর্ট তাকে ১০ বছর সাজা দেন।
এসময় তিনি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। পরে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।
২০২০ সালে ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর ছয় মাস করে মোট সাত দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এসময়ের মধ্যে তিনি তার গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করেন। অনেক দিন থেকেই তিনি হাসপাতালে রয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান শেখ হাসিনা। এরপরই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।