বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় রেলের। এ কারণে ১৭ জুলাই থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের রেলপথ।
দেশের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ১৩ আগস্ট থেকে সবগুলো লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু করে। এবং এরই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে শুরু হলো আন্তঃনগর ট্রেনের চলাচল।
নিরাপদ এই যোগাযোগ ব্যবস্থা আলোর মুখ দেখায় উচ্ছ্বসিত সাধারণ যাত্রীরা। এছাড়া রেলসেবায় আর কোনো অনিয়ম দেখতে চান না তারা।
একজন যাত্রী বলেন, 'আশা করি ভবিষ্যতে এই রেলসেবা আমাদের সহজ হবে। রেলওয়ে তে যে দুর্নীতি আছে, সেগুলো কমাতে হবে। আমরা চাই এখানে দুর্নীতি কম হোক, এতে দেশের উপকার হবে।'
সংঘর্ষের কারণে দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম এত দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল রেলপথ। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন এই পথের যাত্রীরা।
একজন যাত্রী বলেন, 'আমার বাসে যাওয়া অনেক কষ্ট, ট্রেনে যাওয়া সুবিধা হয়। সেজন্য অনেক ভোগান্তিতেই ছিলাম। ২৭ দিন পর ট্রেন চালু হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।'
যাত্রী চলাচলের জন্য স্টেশনে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী ছাড়াও কাজ করবে রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী।
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আপাতত বন্ধ রয়েছে আন্তঃনগরের ৪টি ট্রেন। চলাচল করবে না পারাবত এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন।
যাত্রী পরিবহন খাতে গড়ে প্রতিদিন রাজস্ব আয় হতো চার কোটি টাকা, সে হিসেবে ২৭ দিনে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০৮ কোটি টাকার। তদন্ত শেষে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি ট্রেনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।
তিনি বলেন, 'আমাদের যে কোচগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত হওয়ার পর জানা যাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর ট্রেন বন্ধ বন্ধ থাকায় সবমিলে প্রায় ১০৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।'
তবে ১২ আগস্ট থেকে সীমিত আকারে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।