দেশে এখন
0

সড়কে বাড়ছে শৃঙ্খলাকারীদের ভিড়

দুঃশাসনের প্রতিবাদে অচল করা সড়ক সুশৃঙ্খল করতে নেমেছে সেই শিক্ষার্থীরাই। প্রতিদিন মোড়ে মোড়ে বাড়ছে শৃঙ্খলাকারীদের ভিড়।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই পালা করে দায়িত্ব পালন করছেন। রাতেও নেই বিশ্রাম। স্পষ্ট বার্তা, সড়ক থেকে সরকার-শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে সবাইকেই।

শিক্ষার্থীরা জানান, 'গাড়ি চলতে থাকার সময় পথচারীরা রাস্তা পার হতে চান। সেক্ষেত্রে গাড়ির গতি কমে যায়। অ্যাম্বুলেন্স পিছনে পড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা পথচারীদের এসব বিষয়ে সর্তক করার চেষ্টা করছেন'।

রাজধানীর গুলশান, কারওয়ানবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের চারপাশে ৫০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা যায়। সঙ্গে ছিলেন আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও। প্রশিক্ষণ না থাকলেও বেশ ভালো করছে বলে মত আনসার বাহিনীর।

কয়েকদিন ধরে অবৈধ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, নথি ধরতে সন্দেহজনক যানবাহন তল্লাশি করছে শিক্ষার্থীরা।

কোন কোন ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা হলেও শিক্ষার্থীদের চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবারের মতো শনিবারও ছোট বড় বেশ কয়েকটি সড়কে নেমেছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। শিক্ষার্থীদের বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার সর্বাত্মক আন্দোলনের মধ্যেই ৩১ বছরের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবি আদায়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

দেশের সব সেক্টরের পাশাপাশি পরিবহন সেক্টরেও পরিবর্তন দরকার বলে জানান নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন।

সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ শৃঙ্খলা ফেরানোর অন্যতম অনুষঙ্গ। এটি বন্ধ হলে পরিবহন ব্যয় কমবে, থামবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আনাকাঙ্খিত মৃত্যু। বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক আন্দোলন সড়কে এবার শৃঙ্খলা ফেরাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।

tech