দেশে এখন
0

ভারতেই থাকছেন শেখ হাসিনা

নিউজ ১৮ এর এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন

পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকছেন শেখ হাসিনা। আজ (শুক্রবার, ৯ আগস্ট) দেশটির সরকারের ঊর্ধ্বতন সূত্রের বরাত দিয়ে নিউজ ১৮ প্রকাশিত এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সেখানে বাংলাদেশের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক আশ্রয়ের পরিবর্তে ভিসার ভিত্তিতেই থাকবেন বলে জানা গেছে।

গত সোমবার (৫ আগস্ট) অসহযোগ আন্দোলনের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় গ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন। দেশটির পার্লামেন্টে লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ হিসেবে রয়েছেন রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

তবে এতেও কোনো সুবিধা হয়নি। যুক্তরাজ্যের পর যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

ভারত সরকারের সূত্র গুলো জানায়, এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা কোনো দেশেই নিরাপদে যেতে পারছেন না। অন্যদিকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় বা শরণার্থী সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। ইচ্ছাকৃতভাবেই এ আইন করা হয়নি।

নিউজ ১৮ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সূত্র জানিয়েছে আইনগতভাবে ভারতে কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় বা শরণার্থী হিসেবে রাখার সুযোগ নেই। তবে সরকারি নীতিমালার কারণে দালাইলামা এসেছিলেন।

সরকারি সূত্রগুলোর তথ্যানুযায়ী, রাজনৈতিক আশ্রয় ও শরণার্থী সংক্রান্ত আইন বিশ্বজুড়ে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা কাউকে এ সুবিধা দেয়া হলে তারা নাগরিক অধিকারের দাবি জানিয়ে আদালতে হাজির হন। এর ফলে সমস্যা আরো বেড়ে যায়।

যদি আইন করা হয়, তাহলে ইরান, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকেও যে কেউ এসে আশ্রয় চাইতে পারে বলেও সূত্রগুলো জানায়। তারা আদালতের দ্বারে ঘুরবে। এতে যে সময় ব্যয় হবে তার মধ্যে থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

এদিকে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন না বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেই দেশে ফিরবেন তার মা শেখ হাসিনা।

গতকাল (বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন থেকে জয় বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ।’ দাবি করেন, বাংলাদেশে এখনও সবচেয়ে বড় সমর্থক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের।

শেখ হাসিনা নির্বাচনে অংশ নেবেন কি-না স্পষ্ট না করলেও প্রয়োজনে তিনি নিজে রাজনীতিতে যোগ দেবেন বলেও জানান। দল ও কর্মীদের বাঁচাতে যা করার সব করবেন বলে উল্লেখ করেন জয়।

এর আগে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার কোনো ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছিলেন তিনি। শেখ হাসিনাও আপাতত ভারতেই থাকবেন বলেও জানান তার ছেলে।

tech