প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'যদি আমাদের তরুণ-তরুণী, আমাদের ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনেরা তারা যদি মনে করে দেশব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য কেউ দায়ী, তাহলে সেই দায়ী আমি।'
তিনি বলেন, 'আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে, দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য এই দায়দায়িত্ব আমার। সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হওয়ার জন্য যদি কারও শাস্তি হয় সেটা হওয়া উচিত আমার।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ দায় আমার নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।'
প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ না থাকলে বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাদের তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে যে ক্ষত তা পূরণে অনেক সময় লেগে যাবে। আমাদের কারও কোনো দায়িত্ব, কর্তব্যে অবহেলার কারণে আমাদের ভুলের শাস্তি বা সংশোধনের সুযোগ আপনারা আমাদের দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দয়া করে কোনো ভুল বুঝবেন না। কারণ তিনি নিরাপদ না থাকলে বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে না।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমার যে দায়, ব্যর্থতা এবং দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে, জননেত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো শাস্তি বা আমাকে যেকোনো সিদ্ধান্ত দিলে সেটা আমি মাথা পেতে নেব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে, শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে আমি করজোড়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য সকলের সামনে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অহিদুর রহমান শেখের সভাপতিত্বে শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।