মামলায় সাবেক এমপি এম এ ওয়াহেদ ও কাজিম উদ্দিন ধনু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী রফিক ও গোলাম মোস্তফাসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়।
জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার একটি বিক্ষোভ মিছিল ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় আসে। এ সময় আওয়ালীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় রাজমিস্ত্রি তোফাজ্জল হোসেনকে মিছিল থেকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত তোফাজ্জলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মাস্টারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত পপুলার ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে ডাক্তার তাকে চিকিৎসা না দিলে পরবর্তীতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করে।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শ্রীপুর থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামানের কাছে নিহত তোফাজ্জলের লাশ হস্তান্তর করে। ৫ আগস্ট পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্থান্তর করলে ৬ আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টায় তোফাজ্জলের গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।
ভালুকা মডেল থানার ওসি শামছুল হুদা খান জানান, তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় ২৪৫জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ১৫০জনের নামে মোঃ শরিফ মিয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।