সন্ত্রাসবিরোধী আইনে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির ও তাদের সব অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করলো সরকার।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির যে সম্প্রতি সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধংসাত্মক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি ও উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল সরকারের কাছে সে সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, সরকার বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছে। তাই সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল।
এছাড়াও এ আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করলো। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে আজ দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, জামায়াত নিষিদ্ধে প্রস্তাবনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজই প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবিরসহ ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। এটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের যে দ্বিতীয় তফসিল আছে, সেখানে তালিকাভুক্ত হবে।’
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার পরও তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে রাজনীতি করলে মোকাবিলা করার সক্ষমতা সরকারের আছে বলেও সে সময় জানান মন্ত্রী।
গত ২৯ জুলাই গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে একমত হন নেতারা। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
পরদিন ৩০ জুলাই আইনমন্ত্রী জানান, বুধবারের মধ্যেই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।গতকালও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে, যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।