১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল সাড়ে ৫টায় এ বৈঠক শুরু হয় বলে তথ্য নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং। বৈঠকে দেশের চলমান সংকট ও অস্থিতিশীলতা নিয়ে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ দল মনে করে বিএনপি, জামাত-শিবির, ছাত্রদল ও তাদের দোসর জঙ্গিগোষ্ঠী দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাতে লিপ্ত হয়েছে। তারা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করা ষড়যন্ত্র করছে।’
সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনারকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি চোরাগোপ্তা ও গুলিবর্ষণ করে সরকারের ওপর দায় চাপাতে তার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারা পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ ও মানুষ হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। এই সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে নজিরবিহীন।'
তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে এই অপশক্তিতে নির্মূল করা প্রয়োজন। ১৪ দলের এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জামাত-শিবিরগোষ্ঠীর অপশক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এ সময় তিনি শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৪ দল মনে করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। আমরা মনে করি, কোনো শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে নজর দিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দেশের অস্তিত্ব সংকট রোধে ১৪ দল থেকে জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এখন আমরা আশা করি, সরকার সেটা বাস্তবায়ন করবে।’
সরকারের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার। সেই আশঙ্কা বাস্তব হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে সহিংসতা করেছে। এখন আর সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সরকারকে অনুরোধ করেছি।’