যে শাহবাগ থেকে জুলাইয়ের স্ফুলিঙ্গ দ্বিগুণ আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলার প্রান্তরে। যেখানে '২৪ এর জুলাই-আগষ্টে আওয়ামী লীগের কর্মী থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল নিরস্ত্র ছাত্র জনতাকে। সেখানেই তপ্ত রোদ মাথায় আবারও দ্রোহ নিয়ে জড়ো হয়েছে জুলাই বিপ্লবে শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
শুধু জুলাইয়েই নয়, পিলখানা কিংবা শাপলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরাও এসেছে ইনকিলাব মঞ্চের গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ডাকা শহীদি সমাবেশে। রংপুরে জুলাইয়ের উত্তাল সময়ে বাহু প্রসারিত করে ঘাতকের বুলেটের সামনে বুক পেতে দেয়া শহীদ আবু সাঈদের পরিবার থেকে শুরু করে ঢাকার শহীদ মোসলেউদ্দিনের ছোট শিশু আফনান বা পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার মেজর তানভীরের স্ত্রী। সবার মুখে ছিল দ্রুত গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের নেতারাও সংহতি জানাতে এসেছিলেন শাহবাগের শহীদি সমাবেশে। চলমান সংস্কার ও নির্বাচনের চেয়ে গণহত্যার বিচারকেই অগ্রাধিকার দিতে দেখা গেলো বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা জানান সমাবেশে যোগ দেয়া নেতারা।
সমাপনী বক্তব্যে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের বিচারের কথা উল্লেখ করার আহ্বান জানিয়ে দেশের কোনো দলকেই ভারতের তাঁবেদার হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
১০০ দিনে গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে আগামী ৫ আগস্টে সচিবালয়ের উদ্দেশে শাহবাগ থেকে মার্চ ফর বাংলাদেশ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় ইনকিলাব মঞ্চ।