টাকার অভাবে ধান কিনতে না পারায় বেশ কয়েকদিন থেকে উৎপাদন বন্ধ বগুড়ার চাল চালকলে। আগের উৎপাদিত চালও অন্যত্র পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে নতুন করে ধান কিনে চাল উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে বিনা শ্রমে শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে। এজন্য বড় লোকসানের মধ্যে পড়েছেন মিল মালিকরা।
বগুড়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক দুদু বলেন, 'বাজারে ধানের আমদানি যেমন কমেছে, যানবাহনের অভাবে যা আছে সেগুলোও আমরা অন্য জায়গায় পাঠাতে পারছি না। এজন্য আমরা নিজেরা এখন লসের মধ্যে পড়েছি।'
বগুড়ার পাইকারি ও খুচরা দোকানে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বাড়ার কথা জানান দোকানিরা। নতুন করে চাল কিনতে না পারায় আগের কেনা চালই বিক্রি করছেন তারা। তবে কেনা বেচা একেবারে কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
একজন চাল বিক্রেতা বলেন, 'বাজারে প্রতিকেজিতে দুই থেকে তিন টাকা দাম বাড়ছে। বাজারে লোকজন না থাকায় আমাদের বিক্রি একেবারে কম। আমরা নিজেরাও কিছু কিনতে পারছি না। গাড়ি না ছলার জন্য চাল নিয়ে আসতে পারছি না। আগের কিছু চাল কেনা থাকায় আমরা কিছুটা বিক্রি করতে পারছি।'
বগুড়ার খুচরা বাজারে কাটারি ৬৫ , বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা এবং হাইব্রিড মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বগুড়ায় এবার ৭ লাখ টান চাল উৎপাদন হয়েছে।